Saturday, June 1, 2013

ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব: লেট’স হ্যাভ আ রিয়েল অ্যাডভেঞ্চার


ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতি সেমিস্টার শেষেই শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকেএকটিএক্সক্লুসিভঅ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরগুলো বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে অন্যন্য ট্যুরের চেয়ে বরাবরইআলাদা। এই ট্যুরের প্রধান শর্ত হল সকল রকম আরামপ্রিয়তা থেকে শতহাত দূরে থাকতে হবে! কষ্টকর ও প্রতিকূল অবস্থার সাথেও মানুষ কিভাবে মানিয়ে নিতে পারে সেই শিক্ষাই পাওয়া যায় এই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরগুলোতে।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সর্বশেষ ট্যুরটি ছিল নিঝুমদ্বীপ-এ। ৯ই এপ্রিল, ২০১৩, সন্ধ্যা ৬টায় প্রায় ৮০ জন সদস্যেরএকটি দল নিয়ে নিঝুমদ্বীপেরউদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু কওে চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ। এই ট্যুরে ক্লাবের ৭৭জন সদস্য ছাড়াও ছিলেন ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের অ্যাডভাইসর মেহেদী রাজীব স্যার, স্টুডেন্ট’স অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার নেধা সাকিবা এবং লজিস্টিক ওএলএফ-এর রিমন খান,সালমান হোসেন ও আবু তালেব মিয়াজি।      ট্যুরটির সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের অ্যাডভাইসর মেহেদী রাজিব, প্রেসিডেন্ট মারজানা ফেরদৌসি, জেনারেল সেক্রেটারি তানভীর মেহেদী, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সুরজিৎ রায়, ফিন্যান্স সেক্রেটারি আরাফাত হোসেন, পাবলিকেশন সেক্রেটারি প্রমা সঞ্চিতা ।
এবারের এ ট্যুরটি ছিল ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব ও ডিইএ বা ডিউক অব এডেনবোরা’স অ্যাওয়ার্ড (The Duke Of Edinburgh's Award) –এর যৌথ সমন্বয়ে আয়োজিত। ডিউক অব এডেনবোরা অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করা হয়ে থাকে প্রিন্স ফিলিপ  এর পক্ষ থেকে। এই অ্যাওয়ার্ডের চারটি শর্ত যারা পূরণ করতে পারবে শুধু তাদেরকেই এই পুরষ্কারটি দেয়া হয়। ডিইএ-এর চারটি শর্ত হল-সপ্তাহে ১ ঘণ্টা কোনো প্রতিষ্ঠানে বা ব্যক্তিগতভাবে: কোনো স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নেয়া, কোনো কায়িক শ্রমে নিয়োজিত থাকা, কোনো বিশেষ গুণ বা বিদ্যারচর্চা করা এবং একটি পরিপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপে অংশগ্রহণ। এবারের এই ভ্রমণটির অন্যতম লক্ষ্য ছিল ডিইএ-এর এই ৪র্থ শর্ত পূরণ করা। এই ট্রিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্য মনোনিত হবে ডিইএ-এর ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ডেও জন্য।
চারদিন ও পাঁচ রাত্রির এই চমৎকার ভ্রমণে শিক্ষার্থীরা আনন্দ ও অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে বেশ কিছু শিক্ষামূলক কাজেও। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের জন্য নির্ধারিত তাবুতে থাকতে দেয়া হয়েছে এবং সেটি কিভাবে তৈরি করতে হয় তাও তাদেরকে শেখানো হয়েছে। এছাড়াও ৮টা ভাগে ভাগ হয়ে সবাইকে তাদের জন্য নির্ধারিত দলগত কাজগুলোও করতে হয়েছে। এই ট্রিপের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ও আকর্ষণীয় অংশটি ছিল হরিণ দেখতে যাওয়া। কাদা-মাটি ও লতা-পাতার আবরণে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে হয় হরিণের দেখা পাওয়ার অপেক্ষায়! ভাগ্য ভালো হলে দেখা মেলে হরিণের, নইলে নয়। অনেক সাধ্য-সাধনা করে আমরা দেখা পেয়োছিলাম সেই সোনার হরিণের!
এই ট্যুরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল পরিবেশের কোনো পরিবর্তন বা ক্ষতি না করে খুব কাছ থেকে প্রকৃতিকে দেখা ও অনুভব করা। আর তাই যেখানে সেখানে পরিত্যক্ত জিনিস বা ময়লা-আর্বজনা ফেলা ছিল একেবারই নিষেধ। ময়লা ফেলার নিদির্ষ্ট ব্যাগেই সব ময়লা ফেলা হয়েছে।
সবমিলিয়েশিক্ষা ও অ্যাডভেঞ্চাওে ভরপুর চমৎকার চারটি দিন কাটিয়ে ১৩ তারিখ সকালে ঢাকারউদ্দেশ্যে রওনা করে ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রানোচ্ছল ও উদ্যোমী তরুণ-তরুণীর দল। 

লেখক: প্রমা সঞ্চিতা, পাবলিকেশন সেক্রেটারি, ইউল্যাব অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব।

No comments:

Post a Comment